ভিটামিন এ
সমার্থক শব্দ
ইংরেজী-Vitamin A
সংজ্ঞা
‘রেটিনাল' হলো ভিটামিন এ এর রাসায়নিক নাম। মানবদেহে ভিটামিন 'এ' জারিত হয়ে রেটিনোয়িক অ্যাসিড তৈরি করে।ভিটামিন ́এ ́ মূলত ক্যারোটিন থেকে তৈরি হয় ও ভিটামিন এ হলো খাবারের মধ্য থাকা জৈব অণু।
ইতিহাস
ক্যাসিমির ফাঙ্ক: হিজ ডিসকভারি অফ দ্য ভিটামিন অ্যান্ড তাদের ডেফিসিয়েন্সি ডিসঅর্ডার - অ্যাবস্ট্রাক্ট - নিউট্রিশন অ্যান্ড মেটাবলিজম 2010
নামকরণ
পল কারার 1932 সালে ভিটামিন এ-এর রাসায়নিক গঠন বর্ণনা করেন। হ্যারি হোমস এবং রুথ করবেট 1937 সালে ভিটামিন এ বিচ্ছিন্ন ও স্ফটিক করে তোলেন। ভিটামিন এ-এর সংশ্লেষণের পদ্ধতিগুলি 1946 সালে ডেভিড আদ্রিয়ান ভ্যান ডর্প এবং জোজেফ ফার্ডিনান্ড অ্যারেন্স এবং অটো আইলারের কাজের সাথে আসে। এবং 1947 সালে সহকর্মীরা।
সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
ভিটামিন এ (রেটিনল, রেটিনোইক অ্যাসিড৷ দৃষ্টিশক্তি, বৃদ্ধি, কোষ বিভাজন, প্রজনন এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি পুষ্টি উপাদান। এছাড়াও ভিটামিন এ এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
বৈশিষ্ট্য
ভিটামিন ‘এ ́ অভাবজনিত রোগের মধ্যে 'রাতকানা' রোগ অন্যতম । ভিটামিন 'এ' শরীরে কম থাকলে শরীরে প্রাপ্ত লৌহের স্বাভাবিক ব্যবহারে ঘাটতি ঘটে। ফলে রক্ত স্বল্পতা দেখা দেয়। যার থেকে অ্যানিমিয়া হবার সম্ভাবনা থেকে যায়। ৯ মাস থেকে ৪ বছরের শিশুদের মধ্যে ভিটামিন 'এ' জনিত রোগ বেশি দেখা যায়। ভিটামিন 'এ' র অভাবে ক্যারটম্যালেসিয়া রোগ দেখা দেয়। ভিটামিন 'এ' সঠিক মাত্রায় শিশুর শরীরের না থাকলে মেসেলস ও ডায়রিয়া জাতীয় অসুখ দেখা দেয়।
প্রকারভেদ
ভিটামিন 'এ' তৈরির উৎস দুটি
১.উদ্ভিদজাত
২. প্রাণীজাত
উদাহরণ
ভিটামিন এ এর উদাহরণ হলো গাজর, কুমড়ো, পাকা পেঁপে, ঘি, মাখন ও অন্যান্য সব্জি, মাছের তেল, মাংস,ডিম ইত্যাদি।
অন্যান্য বৈশিষ্ট্য
ভিটামিন এ সুস্থ দাঁত, কঙ্কাল এবং নরম টিস্যু, শ্লেষ্মা ঝিল্লি এবং ত্বক গঠন ও বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি রেটিনল নামেও পরিচিত কারণ এটি চোখের রেটিনায় রঙ্গক তৈরি করে। ভিটামিন এ ভালো দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়, বিশেষ করে কম আলোতে। স্বাস্থ্যকর গর্ভাবস্থা এবং বুকের দুধ খাওয়ানোতেও এর ভূমিকা রয়েছে।
ব্যবহার
ভিটামিন 'এ' শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ভিটামিন 'এ’ চোখের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। শরীরের বিকাশে ভিটামিন 'এ'র ভূমিকা আছে। বাহ্যিক আবরণের কোষ, ত্বক, দাঁত, ও অস্থির গঠনের জন্য ভিটামিন 'এ' জরুরী। ভিটামিন 'এ' নানা রকমের সংক্রামক রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করে থাকে। শরীরে প্রাপ্ত লৌহের স্বাভাবিক ব্যবহারের ঘাটতি হয় না ভিটামিন 'এ' শরীরে থাকলে। ফলে রক্ত স্বল্পতা দেখা দেয়না। শরীর সুস্থ্য থাকে।ভিটামিন 'এ' বার্ধক্য রোধ করতে সহায়ক। ত্বকের শুষ্কতা বা বলিরেখা ভিটামিন 'এ' র দ্বারা থাকে না। ত্বক সতেজ রাখে। টিউমার ও ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে ভিটামিন 'এ'। লিভার ভালো রাখে।
_______
0 Comments