সালাতে মনোযোগী হওয়ার টিপস

 সালাতে মনোযােগী হবার টিপস


নামাজে মনোযোগী হওয়ার টিপস


সকলেই হয়তা জানি ।
তারপরেও ভাল কাজে একে অন্যকে রিমাইন্ডার দেয়া.....
১। সালাতে কি কি সুরা পড়বাে, তা আগে থেকে ঠিক করে
রাখা।
২। সূরা গুলোর অর্থ জানা। তাফসীর জানা যেমন কেন।
নাজিল হয়েডছিল, ইত্যাদি। সূরাগুলাে সম্পর্কে বা সূরাগুলাে
পড়ার ফজিলতগুলাে সহিহ হাদিস থেকে জানা। এই জানাটাই
নামাজে মনােযােগ অনেক বাড়িয়ে দিবে ইনশাআল্লাহ।
৩। আগে থকে ঠিক করে রাখা যে সিজদায় কি কি জিনিস
চাইবাে। প্রতি সিজদায় একটি করে জিনিস চাওয়া যেতে
পারে। এতে আল্লাহর সাথে বান্দার সবচে নিকট সময়টা
আরেকটু দীর্ঘ হবে এবং তার উপরে, সিজদাহ দোয়া কবুলের
সময়।
৪। দোয়া মাসূরা পড়ার সময় বা পরে কি কি চাইবাে আল্লাহর
কাছে, তা ঠিক করে রাখা। সালাতের শেষ বৈঠকের এই
সময়টি দোয়া কবুলের সময়।
৫। যে সম্ত তাসবিহ গুলাো আমরা পড়ি, তাতে বৈচিত্র
আনা। যেমন সিজদায় সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা এর
বদলে সুবহানাকা আল্লাহুস্মা রাব্বানা ওয়া বিহামদিকা
আল্লাহুস্মাগফিরলি বলা। অর্থাৎ, অল্টারনেট করে করে
তাসবিহগুলাে পড়া।
৬। মনােযােগ এ ব্যাঘাত ঘটলে আউজুবিল্লাহিমিনাশ শাহইতানির
রাজিম বলে বাম দিকে তিন বার থুক এর মত করা
৭। সালাত শেষ করেই উঠে না যাই। যেই মাসনূন দোয়াগুলাে
আছে, সেগুলো পড়ি। মুনাজাত করি। যা যা চাইলাম, আবার
চাওয়া বা নতুন কিছু চাওয়া। সালাতের শেষে চাওয়া দোয়া
৮। সালাত আমাদের জন্য, আমাদের সালাতের দূর্বলতার জন্য
আল্লাহর কিছু হবে না, এতে আমরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবাে। এই
চিন্তাটা মাথায় থাকা।
৯। যে ওয়াকত এর সালাত পড়ছি, এটাই হতে পারে আমার
শেষ সালাত। এই চিন্তাটা মাথায় রাখা।
১০। আম আল্লাহকে দেখছি, আর আল্লাহ আমাকে দেখছে
এটা মাথায় রাখা। আমরা যখন বস এর সাথে কথা বলি,
জোরে হাই তুলি? তার সামনে যখন এই কাজগুলি করি না,
তাহলে যার কাছে আমাদের শেষ/অন্তিম গন্তব্য তার সামনে
যখন আমি উপবিষ্ট, তখন কেন এভাবে ব্যবহার করবা?
নােটঃ দোয়ার বিভিন্ন পদ্ধতি আছে, তার মধ্যে নবী রাসূল দের
শিখানাে একটি পদ্ধতি কুরানে এবং হাদিসে বার বার এসেছে-
উনারা দোয়া চাইবার আগে সব সময় নিজের কৃতকর্মের জন্য
ক্ষমা চাইতেন। আল্লাহুস্মাগফিরলি বা ইয়া রাব্বি গাফিরলি
বলে বা আমরা যে যেভাবে, যে ভাষায় ক্ষমা চাইতে পারি।
নিজের সকল গুনাহ মাফ করে দবার জন্য আর শয়তান বা
নফসের পাল্লায় পড়ে আবার গুনাহ না করার জন্য।
-------

Post a Comment

0 Comments